সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে দেখি সালোনিদিদি আমার দিকে চেয়ে আছে। কী অদ্ভুত!! আমি তাকে আমার স্বপ্নে দেখেছি। সে কিছু নতুন ব্যাপার না, প্রায় সময়ই আমি দিদিকে আমার স্বপ্নে দেখি। সালোনি দিদি আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি চোখ খুলতেই সে বলে উঠলো 'ওই ভূতো, উঠে পড়!! আজ যে তোর জন্মদিন!'
'জন্মদিন?? কোথায় যেন শুনেছি কথাটা?? হ্যাঁ...!! মনে পড়েছে। জন্মদিন হল সেইদিন যেদিন আমরা জন্মেছি। তার মানে আমার আজ একবছর পূর্ণ হল। দিদি, আমার মুখে জিজ্ঞাসু দৃষ্টি দেখে ঘাবড়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমি তাকে আমার ল্যাজ নাড়িয়ে বুঝিয়ে দিলাম যে, সব ঠিক আছে। তারপর আমি দিদির পিছনে দৌড়ে গিয়ে ঢুকলাম, বসার ঘরে। ঢুকেই আমার চোখ ঝলসে গেল রঙবেরঙ - এর বেলুন দেখে। ঘরের মাঝে দেখি মোহন দাদা, দাদু এবং দিদা দাঁড়িয়ে আছে একটা ছোট্ট টেবিল ঘিরে। আমি তাদের কোন পাত্তা না দিয়ে নিজের মনের আনন্দে একের পর এক রঙিন বেলুন ফাটাতে লাগলাম। ফট্ ফট্ করে একের পর এক বেলুন ফাটতে লাগল। একটু পরে যখন দাদু আমার নাম ধরে ডাকল, তখন আমি তাদের সঙ্গে গিয়ে দাড়ালাম। আমি যেতেই দেখি দিদা সুড়ুত করে পাশে সরে গেল। আমি হেসে তাকে বললাম, 'আমি তোমায় কিচ্ছু করব না! সুতরাং কোনো ভয় নেই।' কিন্তু তাতে যেন সে আরও ভয় পেয়ে আরও দূরে সরে গেল। তখনই আমার চোখ গিয়ে পড়ল টেবিলে সাজানো জিনিসগুলোর ওপর। টেবিলের ওপর সাজানো ছিল কিছু খেলনা, বিস্কুট, আইসক্রিম এবং পনির। ব্যাস্, আমাকে আর সামলায় কে?? দু-পায়ে ভর দিয়ে, টেবিলের ওপর দু-পা রেখে গোগ্রাসে সব গিলতে লাগলাম। আজ সারাদিন মজাই মজা। খেতে খেতে...খেলতে খেলতেই দিনটা কেটে গেল। রাতে শুয়ে বুঝতে পারলাম যে, আমি কতটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। তার সাথে এটাও বুঝলাম সবার জন্মদিন এত্ত ভালো লাগে কেন...! এইসব বোঝা বুঝিতে আমার মাথাও ক্লান্ত হয়ে গেল এবং আমি শেষ পযর্ন্ত ঘুমিয়ে পড়লাম।
ত্রিজল সাহা